বিশ্বে তীব্র খাদ্য সংকটে পড়বে ৩৫ কোটি মানুষ

প্রথম আলো EN By using this site, you agree to our Privacy Policy. OK এশিয়া বিশ্বে তীব্র খাদ্য সংকটের মুখে ৩৫ কোটি মানুষ রয়টার্সবাগদাদ প্রকাশ: ২৫ আগস্ট ২০২২, ২৩: ৫৯ গমখেত গমখেতফাইল ছবি করোনা মহামারি, সংঘর্ষ ও জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ২০১৯ সালের পর বিশ্বজুড়ে তীব্র খাদ্যনিরাপত্তাহীনতার সম্মুখীন মানুষের সংখ্যা দ্বিগুণের বেশি বেড়ে সাড়ে ৩৪ কোটি ছাড়িয়েছে। জাতিসংঘের খাদ্যসহায়তা-সংক্রান্ত শাখা বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) গত বুধবার এ তথ্য জানিয়েছে। ডব্লিউএফপির আঞ্চলিক পরিচালক করিন ফ্লেশার বলেন, করোনা মহামারি শুরুর আগে তীব্র খাদ্যনিরাপত্তাহীনতায় ভোগা মানুষের সংখ্যা ছিল সাড়ে ১৩ কোটি। এরপর এ সংখ্যা বেড়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন ও সংঘর্ষের ফলে এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা রয়েছে। পরিবেশগত সমস্যার প্রভাবে সৃষ্ট অস্থিতিশীলতা খাদ্যঘাটতি আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। এ ছাড়া জলবায়ু–সংকটের ফলে আরও সংঘাত ও ব্যাপক বাস্তুচ্যুতির ঘটনাও ঘটতে পারে। ফ্লেশার বলেন, ‘বিশ্বের এই চাপ বহনের সামর্থ্য নেই। জলবায়ু পরিবর্তন ও সংঘর্ষের ফলে আমরা বিশ্বজুড়ে ১০ গুণের বেশি বাস্তুচ্যুতি দেখছি। জলবায়ু পরিবর্তন ও সংঘর্ষের মধ্যে আন্তসম্পর্ক রয়েছে। আমরা তাই করোনা, জলবায়ু পরিবর্তন ও ইউক্রেন যুদ্ধের যৌথ প্রভাব নিয়ে উদ্বেগে রয়েছি।’ মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা অঞ্চল খাদ্য আমদানির ওপর নির্ভরশীল। কৃষ্ণসাগরের বন্দরগুলো দিয়ে আসা খাদ্যের দিকে তাকিয়ে থাকতে হয় এ অঞ্চলের মানুষগুলোকে। ফ্লেশার বলেন, ইউক্রেন–সংকটের ব্যাপক প্রভাব মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকায় পড়তে দেখা গেছে। ইয়েমেন প্রয়োজনীয় খাদ্যের ৯০ শতাংশ আমদানি করে থাকে। এর মধ্যে ৩০ শতাংশ আমদানি হয় কৃষ্ণসাগর দিয়ে। ইউক্রেনে হামলা শুরুতেই কৃষ্ণসাগরের কয়েকটি বন্দর দখলে নেয় রুশ সেনারা। এসব বন্দর দিয়ে ইউক্রেনের খাদ্যশস্য রপ্তানি বন্ধ হয়ে যায়। গত মাসে তুরস্ক ও জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় ইস্তাম্বুলে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে খাদ্যশস্য রপ্তানি বিষয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

Comments

Popular posts from this blog

সালমান খানের বড় ভক্ত জায়েদ